এই পৃথিবীতে বহু ধরনের ব্যবসা প্রচলন রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী প্রত্যেক দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা হিসেবে কাজ করে। হাজারো ব্যবসা আইডিয়া মধ্যে উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। হোকনা সেটি ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী ব্যবসা অথবা বৃহৎ পরিসরের উৎপাদনমুখী ব্যবসা।
এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির চালিকা কে আরও গতিশীল করার জন্য উৎপাদনমুখী ব্যবসা প্রসার ঘটানো অতীব জরুরী। নিজের ভাগ্য বদল এবং দেশের উন্নয়ন সাধনের জন্য আমরা চাইলে একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করতে পারি। যদিও সেটি হবে খুবই ক্ষুদ্র পরিষদের একটি ব্যবসা কিন্তু একদিন সেই ক্ষুদ্র ব্যবসা কিভাবে দেশের জাতির কাছে সমৃদ্ধশীল একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
কিভাবে অল্প পুঁজিতে, অল্প লোক বলে একটি ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করা যায় সেই সম্পর্কে আজকের আলোচনা। এখানে আমি ২০ টি ক্ষুদ্র উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া লিপিবদ্ধ করবো ইনশাআল্লাহ। এখান থেকে যেকোন একটি ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন ইনশাআল্লাহ একদিন আপনি সফল হবেন।
১. কাগজ তৈরির ব্যবসা: বহু আগে থেকেই আমাদের দেশে কাগজের চাহিদা ব্যাপক। আশা করা যায় ভবিষ্যতে কাগজের চাহিদা কমবে না। কাগজ তৈরি ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। অফিস-আদালত স্কুল-কলেজ আসলে কাগজ বেশ কদর রয়েছে। কাগজ তৈরির মেশিন এবং কাঁচামাল মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করলেই ব্যবসা শুরু করা যায়। বাজারে সাধারণত এ-টু, এ-থ্রি এবং এ-ফোর মাপের কাগজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও এ ব্যবসার সাথে খাতা তৈরি ব্যবসা সংযুক্ত করা যায়।
২. কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা: আমাদের দেশে শপিংমলগুলোতে কাগজের ব্যাগের চাহিদা ব্যাপক ।আর ঘর থেকে বের হলেই প্রচুর কাপড়ের দোকান রয়েছে এছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাগজের ব্যাগ এর প্রয়োজন হয়। বাড়িতে বসে বসেই কাগজের ব্যবসা সম্ভব। আজকালকার দিনে খবরের কাগজের ব্যাগ তৈরি করেও অনেকেই অর্থ উপার্জন করছেন। এছাড়াও তৈরি করা যেতে পারে হালকা পিচ বোর্ডের বাক্স যেগুলো মিষ্টির দোকান থেকে শাড়ির দোকান ফলের দোকান ইত্যাদিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
৩. মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ তৈরির ব্যবসা: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে এবং এই ফলটিকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আনুষাঙ্গিক তৈরি করে ব্যবসা করা যায়। স্মার্টফোনের আনুষাঙ্গিক এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত যেটি সেটি হল গ্লাস প্রটেক্টর এবং ব্যাক কভার। এই দুইটি জিনিস উৎপাদন করেও আমরা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারি। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র একটি মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৪. ঘরে বসে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা: বাজারে বহু ধরনের বিস্কুটের প্রচলন রয়েছে তবে আপনি যদি ঘরে বসে বিস্কুট তৈরি করে সেটা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেন তবে একটা মোটা অঙ্কের মুনাফা লুটে নিতে পারবেন। এছাড়াও ঘরে তৈরি বিস্কুটের চাহিদাও ব্যাপক। কেননা আমরা বাইরে যে খাবারগুলো খায় সেগুলো অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। বিস্কুট এরশাদ ভালো হলে চায়ের দোকান ভাড়ার মুদি দোকানগুলোতে সহজেই বিক্রি করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওভেন এবং কিছু কাঁচামাল। মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব।
৫. জৈব সার তৈরির ব্যবসা: আমাদের দেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জৈব সারের প্রতি একটি দুর্বলতা রয়েছে। এই বিশাল বাজারে আপনি চাইলে আপনার একটি অবস্থান তৈরি করতে পারেন। নিজের বাড়ির বর্জ্য এবং আশেপাশের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এই জৈব সার তৈরি করা সম্ভব। স্থানীয় বাজার এবং বিভিন্ন লোকের কাছে এই সার গুলো বিক্রি করা যায়। বর্তমানে বস্তা ভর্তি করে জৈব সার বিক্রি করতে দেখা যায়। উৎপাদনমুখী ব্যবসা দিতেও রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা।
৬. কাঠের জিনিসপত্র তৈরি ব্যবসা: আমাদের দেশে বর্তমানে ননস্টিক পাত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পাথরগুলোর প্রটেকশনের জন্য সাধারণত কাঠের তৈরি হাতা খুন্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টগুলোতে ও এই হাতা গুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কিচেন সামগ্রীর দোকানে খেয়াল করলে এই পণ্যগুলো নজরে পড়ে। তাই আমরা যে কেউ চাইলে এই পণ্যগুলো তৈরি করে ব্যবসা করতে পারি। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা আইডিয়া এবং অল্প পুজিতে অল্প কিছু লোকেই করা সম্ভব।
৭. নুডুলস তৈরির ব্যবসা: দু’ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে এই নুডুলস তৈরি ব্যবসা দিয়ে শুরু করা যাবে। প্রথমটি হচ্ছে সেমি অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে নুডুলস তৈরি করা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে নুডুলস তৈরি করা। এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে অভিজ্ঞ লোকের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেই ভালো হয়। আপনি ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেও এই ব্যবসাটি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মেশিন আমদানিকারক রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। তারা আপনাকে সম্ভাবনাময় সবগুলো পথ বলে দেবে ইনশাল্লাহ আপনি এখান থেকে শুরু করে একদিন একটা ভালো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবেন।
৮. মরিচ হলুদের পাউডার তৈরির ব্যবসা: আজকালকার দিনে বাড়িতে মসলা রান্নার চেয়ে বরং বাজার থেকে রেডিমেড কিনে এনে রান্না করতে আমরা পছন্দ করি। সেই হিসেবে বাজারে গুড়া করার হলুদ মরিচের চাহিদা ব্যাপক। আপনি চাইলে বাড়িতে বসে ব্যবসা করতে পারেন। হলুদ-মরিচ লোকাল মার্কেট থেকে কিনে সেটাকে ঘুরা করে বাড়িতে বসে প্যাকেট করতে পারেন। আপনার এলাকায় যত মোদি দোকান রয়েছে সেগুলোতে সাপ্লাই দিবেন পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি যেও এগুলো বিক্রি করা যায়।
৯. আটা ময়দা তৈরি ব্যবসা: খুবই সহজ এবং কম পুজির ব্যবসা হচ্ছে আটা ময়দা তৈরির ব্যবসা। একটা মেশিন কিনে ব্যবসা করা যায়। এখানে তেমন একটা মূলধনের প্রয়োজন হয় না। আটা ময়দা তৈরি করে সেটাকে বিভিন্ন সাইজের ব্যাগের মধ্যে ভর্তি করে অথবা প্যাকেট করে আপনার এলাকায় মুদি দোকানগুলোতে সাপ্লাই করতে পারেন। এছাড়াও বড় বড় বস্তা ভর্তি করে ও বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেওয়া যায়।
১০. নারিকেলের দুধের পাউডার তৈরি: যদি আমাদের দেশে এই পণ্যটি তেমন একটি চাহিদা নেই তবে বিভিন্ন শহরে এলাকাগুলোতে এই পণ্যটির চাহিদা রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে নারিকেলের দুধের পাউডারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শহর এলাকাগুলোকে টার্গেট করে বিশেষ করে যেই এলাকাগুলোতে সুপারশপ রয়েছে সেগুলো কে টার্গেট করে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। সাধারণত নারকেল দুধের পাউডারের ব্যবহার বা বিক্রি সুপার সবগুলোতেই দেখা যায়।
১১. অ্যালুমিনিয়ামের অথবা স্টিলের দরজা জানালা তৈরি: আমাদের দেশ যেভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে একটা সময় সবাই দালানকোঠার মালিক হবে। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। অনেকেই পুরোনো বাড়িটাকে নতুন করে সাজানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নতুন বাড়ি ঘর তৈরি এমন কি অফিস-আদালতে অ্যালুমিনিয়ামের, স্টিলের, লোহার দরজা জানালার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদিও এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য একটু বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবে কিন্তু শুরু করতে পারলে এখান থেকে ভালো ইনকাম করা যায়।
১২. টিসু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা: পলিথিনের ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্ববাসী এখন পলিথিনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চায়। প্রাণিজগতের হুমকি এই পলিথিন ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। তাই পলিথিনের বিকল্প হিসেবে টিস্যু ব্যাগের প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর প্রচলন চাহিদা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা চাইলেই টিস্যু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারি। ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করলে অথবা যারা এই ব্যবসাটি করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
১৩. জ্যাম ও জেলি তৈরির ব্যবসা: এখনকার দিনে প্রায় প্রত্যেকটা দোকানেই এবং জেলি পাওয়া যায়। আর এই প্রোডাক্ট গুলোর চাহিদা প্রচুর। ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের জ্যাম অথবা জেলি তৈরির ব্যবসা শুরু করা যায়। মাত্র ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ইন্টারনেট থেকে দেখে দেখে চুলায় জেলি তৈরি করে সে গুলোকে কাচের বৈয়ামে ভর্তি করে বিক্রি করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরেই ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারি। পরবর্তীতে আমরা চাইলে ধীরে ধীরে সেমি-অটোমেটিক অথবা অটোমেটিক মেশিন দিয়ে এগুলো তৈরি করার জন্য ধাপে ধাপে এগোতে পারি।
১৪. মধু উৎপাদনের ব্যবসা: মধু উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে মধু উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে । এটি একটি প্রকৃতি নির্ভর ব্যবসা। অল্প কিছু বিনিয়োগ করেই এখান থেকে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এখানে আপনার প্রধান পুঁজি হবে আপনার অভিজ্ঞতা। আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে ততই আপনি এই ব্যবসায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। হানি কাল্টিভেশন ট্রেনিং সেন্টার ইন বাংলাদেশ লিখে ইন্টারনেটে সার্চ করলেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১৫. কালোজিরার তেল তৈরির ব্যবসা: আমাদের দেশে কালোজিরার তেলের উপর মানুষের দুর্বলতা রয়েছে। এছাড়াও কালোজিরার তেল মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বহু বছর আগেই বলে গিয়েছেন। কালোজিরার তেল তৈরি করে কিন্তু সুন্দর একটা ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব। দেশের যতগুলো ফার্মেসি রয়েছে সেই ফার্মেসি গুলো কে টার্গেট করে এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। ৫০০ টি ফার্মেসির মধ্য থেকে যদি ৩০০ টি ফার্মেসি যদি আপনার কাছ থেকে এই পণ্য নিয়ে বিক্রি করে তাহলেই যথেষ্ট।
১৬. খেলনা তৈরির ব্যবসা: একটি বিশাল সম্ভাবনাময় ব্যবসার খাত হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য খেলনা তৈরি করা। আপনি খেয়াল করবেন ছোট ছোট জিনিস গুলো এত দামে বিক্রি হয় যেটা অকল্পনীয়। ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে কাপড়ের তৈরি টেডি বিয়ার বা এজাতীয় খেলনা তৈরি করে ব্যবসা করা যেতে পারে। আরেকটু এডভান্স লেভেল এর ব্যবসা করতে চাইলে সেমি অটোমেটিক অথবা অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে ও বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি করে ব্যবসা করা যায়। এর জন্য আপনাকে বিদেশ থেকে মেশিন আমদানি করে আনতে হবে এবং একটু বেশি ইনভেস্ট করতে হতে পারে।
১৭. চানাচুর এবং নিমকি তৈরির ব্যবসা: ভালো মানের একটা ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব। চাহিদা আগেও ছিল বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও এটা চাহিদা কমবে না। একবার দেখলেই আপনি কিভাবে চানাচুর বানাতে হয় সেটি পারবেন। চানাচুর বানানোর শেখান হয়ে গেলে সেটা বাড়িতে বসে তৈরি করবেন এবং প্যাকেটজাত করবেন। প্রত্যেক এলাকাতেই প্রচুর মুদি দোকান রয়েছে সেখানে সাপ্লাই করে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। চানাচুর এর পাশাপাশি নিমকি, ডালভাজা, বাদাম ভাজা ইত্যাদিও তৈরি করা যায়।
১৮. ন্যাপথলিন তৈরির ব্যবসা: এই পণ্যটির একটা ভালো বাজার রয়েছে। প্রত্যেকটা কসমেটিকের দোকানে ন্যাপথলিন এর চাহিদা রয়েছে। জামা কাপড়ে এবং বাথরুম পায়খানায় পোকামাকড়ের আক্রমণ এড়ানোর জন্য এই পন্যটি ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় মশা তাড়ানোর জন্য এটা ভালো কাজ করে। ন্যাপথলিন তৈরির মেশিনের সাহায্যে এই ছোট ছোট বল তৈরি করতে হয়। ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই পাবেন কিভাবে বানাতে হয় সব তথ্য পেয়ে যাবেন।
১৯. পনির, মাখন ও ঘি তৈরি: বাড়িতে বসে খুব সহজে পনির মাখন এবং ঘি বানানো যায়। নামমাত্র বিনিয়োগ করে এই ব্যবসাটি আপনি আজকে শুরু করতে পারেন। হাতে তৈরি ঘি মাখন এবং ছানার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। আপনি একবার এই জিনিসগুলো তৈরি করে বাজারে নিয়ে বসেন দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো জিনিস বিক্রি হয়ে গেছে। বড় বড় কোম্পানির পন্যগুলোর চেয়ে বাড়ীতে তৈরি পণ্যগুলোর মান অনেক ভাল হয় বলেই মানুষ হাতে তৈরি জিনিস গুলো কিনতে আগ্রহী হয়। একবার ক্রেতার আস্থা অর্জন করতে পারলে বারবারই তারা আপনার কাছে ফিরে আসবে। এভাবে অল্প কিছু কাস্টমারকে নিয়মিত সার্ভিস প্রদান করতে পারলেই যথেষ্ট।
২০. রাবারের কার্পেট, পাপোশ, টেবিল ক্লথ তৈরি: রাবারের তৈরি কার্পেট অথবা পাপোশ এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অফিসে অথবা বাড়ি সব জায়গাতেই চাহিদা রয়েছে। ভালো মানের এবং ভালো ডিজাইনের পণ্য তৈরি করতে পারলে বিক্রি করার খুব সহজ। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার ন্যূনতম ট্রেনিং এবং কিছু যন্ত্রপাতি কিনে নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।