Golpo/Adda

Go Back
ভুতের গল্প

আজ এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ।মনে পড়ছে বছর পাঁচেক আগের সেই পৈচাশিক মুখ টি তবে পুরু টা নয়। আজ সেই তারিখ যে তারিখ টি আসলে মনে হয় কেউ আমাকে আড়াল থেকে দেখছে এবং রক্তিম ঠোট আর ধারালো দাত দিয়ে বিতগুটে হাসি হাসছে। দরজা জানালা দিয়ে লিখতে বসেছি। তবুও মনে হচ্ছে সে জানালার ওপাশ থেকে আমার দিকে জলন্ত চখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।মুখ তুলে জানালার দিকে তাকাতে সাহস পাইনা। একবার ভেবেছিলাম লিখবো না। কিন্তুু এক অদৃশ্য শক্তি যেন আমাকে বসিয়ে রেখেছে। হয়তো আশিক ভাইয়ের পবিত্র আত্মা আমাকে জোর করে বসিয়ে রেখেছে। সেদিন বাইরে জলমলে রোদ।এমন সময় আশিক ভাই এসে বললেন : কিরে সোহান ঘুরতে যাবি। আমিঃযাবনা মানে!তা কোথায়? আশিক ভাইঃ খাগড়াছড়ি অঞ্চলের দিকে। আমিঃতাহলে কালি আমরা যাত্রা করি আশিক ভাই: হুম, , ।।।।। ।।।।। ।।।।। সকালে আশিক ভাইএর গাড়িটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি। গাড়ি আপন মনে যাচ্ছে।আমি বাইরে তাকিয়ে দেখছি। তখন রাত ৯ টার কাছাকাছি। আমিঃ আশিক ভাই দেখতো সামনে কোন হোটেল আছে কিনা? আশিক ভাইঃ হুম একটি আছে। আমিঃ তাহলে চলো ডিনার টি সেরে নেই। আশিক ভাইঃহুম চল। । । ।।। ।।। ।।। ।।। ।।। তার পর আমরা চললাম হোটেলের ভিতর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আশার সময়। হোটেলের মালিক আমাদের বললেন। হোটেলের মালিকঃ বলছি কি আপনাদের আর বেরতে হবে না। আমার হোটেলের রুম খালি আছে।আপনারা বরং এখানে থেকে যান। আশিক ভাইঃ না তা সম্বব নয় আমাদের আজকেই এক বন্ধুর ওঠায় কথা। হোটেলের মালিকঃ আপনাদের মধ্যে যেকোনো একজনের সাথে দেখা হবে। আমি তো আপনাদের নিয়তি আটকে রাখতে পারব না তবে এই জিনিস দুইটি রাখুন।(পকেট থেকে দুটু তাবিজ বের করে আমার হাতে দিয়ে চলে গেল) ।।।। । ।। ।।। আশিক ভাইঃও দুটো তর গলায় পেচিয়ে রাখ। আমিঃ আশিক ভাই তুমি নেবে না? আশিক ভাইঃনা আমি ওসব বিশ্বাস করি না। আমি ও তাই করলাম আবার আমাদের গাড়ি চলতে শুরু করলাম৷ দু পাশে ধুধু মাঠ যে মানুষ হিন মিত্যু পোরি। ।।।।।। ।।।।। ।।।। ।।। ।। । হটাৎ গাড়ি সামনে ১০ থেকে ১২ একটি মেয়ে গাড়ি থামানোর সংকেত দেয়। আশিক ভাই গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাস করলেন : কি হয়েছে খুকি এতরাতে তুমি এখানে কি করছ??? সে জানালো তার বাড়ি সামনের শহরে। তাকে শহরে ছেড়ে আসলে নাকি তার খুভ উপকার হয়। আশিক ভাই ও তাকে সংগে নিলাম।। ।।।। ।।।।। ।।।।। ।।। আবার গাড়ি চলতে শুরু করলো ।।। । ।। ।।। ।।। ।।। হটাৎ গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল। কি হয়েছে দেখতে আশিক ভাই বাইরে গেল চেক করতে। ।।। ।।। ।।।। । । হটাৎ করে মনে হলো কে যেন গাড়িতে কোথার যেন ফুসফুস শব্দ করছে আমি পিছনে তাকিয়ে গামতে থাকলাম কোথায় সেই মেয়ে তার জায়গায় বসে আছে এক বিতগুটে দেখতে এক পেত্নি নাক দিয়ে বেরুচ্ছে গরম নিশ্বাস। দাত গুলো অনেক ধারালো। মাত্র কয়েক মুহত্ত এ দৃশ্যl। দেখার সুজুগ হয়ে ছিলো। তার পরি সে পৈশাচিক শব্দ করে ঝাপিয়ে পড়ল আমার ওপর গলা ফাটিয়ে চিত্কার দেই আশিক ভাই বলে। জ্ঞান হারানোর আগে শুধু দেখেছিলাম পেত্নিটি কারেন্টর শক খাওয়ার মত করে ছিটকে পড়লো। তারপর। আর মনে নেই ।যখন চখ খুললাম তখন আমি হাসপাতালে। তখন পাশে মা বাবাসহ আরেক জন আছে। আরে এতো হোটেলের মালিক। পরে তার কাছে সব জানি। ।।।।। ।।। ।।।। ।।।। ।।।।। ।। হোটেলের মালিক:বলেছিলাম না যেকোনো একজনের সাথে দেখা হবে। আমিঃমানে!আশিক ভাই?? হোটেলের মালিক: আশিক সাহেবের দেহ ফেলা ফেলা হয়ে গেছে। আমিঃকিন্তু তা কি করে হয়!!,,,,(ঠেকে ঠেকে বললাম) হোটেলের মালিক:আমি জানি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। আমিঃ কিন্তু ওটি কি ছিল??? হোটেলের মালিক: একটি পেত্নি যায় নেশা মানুষের প্রান নেওয়া। আমিঃতাহলে আমাকে ছেড়ে দিল কেন??? হোটেলের মালিক: সে এক সাথে দুজনের প্রান নেয় না। আমিঃ সে তো আমাকে আগে ধরে ছিল???? হোটেলের মালিক:আপনার কাছে যে রক্ষা কবজ ছিল। ।।। ।।।। এই ঘটনার পর কয়েক বছর কেটে গেছে। কিন্তু সেই দিনটি এখনো আমাকে তাড়া করে। গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গলে বা কখনও একা থাকলে মনে পরে সেই দিন টির কথা মনে পড়ে পৈচাশিক মুখ টি।