Golpo/Adda

Go Back
ভ্রমনের গল্প

বেরিয়ে ছিলাম আঠাশ জনে দারুণ খুশি সবার মনে ঠিক হলো, প্রথমে যাব ইতালি জোড়ায় জোড়ায় জমে গেল মিতালি ৷ ইতালিতে অবস্থান হলো শেরাটন রোমা সকাল বেলা সবার মাথায় পড়লো যেন বোমা ! ছোটকু ভাবির ব্যাগ, পাসপোর্ট হয়ে গেলো ছিনতাই এবার মাথায় উঠলো হাত, কি হবে ? বসে ভাবছি সবাই ৷ অবশেষে সমাধান একটা হলো তাই বললো গাইড, চলো এবার সুইজারল্যান্ড যাই ভূস্বর্গের মাঝে এসে আনন্দ আবার ফিরে আসে আনোয়ার ভাই দিশাহারা কোথায় গেলো আমার সারা ? শহীদ ভাই দারুন চাপা ভাজা মাছ উল্টে না খায় , সুযোগ পেলেই চুপি চুপি ভাবির জন্য শপিং এ যায় ৷ জাহাঙ্গীর ভাইয়ের মাথা গরম টিম লিডার, দায়িত্ব বেশি তবুও মনে প্রশান্তি থাকে কারণ সোমা ভাবী হাসিখুশি ৷ মোস্তফা ভাইয়ের মেজাজ বেশি মেজাজী এক লোক , সারাক্ষণ চায় কেবল নিজের কাজটাই হাসিল হোক ৷ সৌমেন দাদার সারাক্ষণই দিলখোলা হাসি ডেল মারিয়া করলো তাকে বনবাসী ! নজরুল ভাই মাটির মানুষ কেনাকাটায় নেই কোনো হুশ , পেলেই হলো ঘড়ি, জুতা দু'হাত দিয়ে ব্যাগে ভরে তা ৷ শরিফ ভাই আপনহারা শপিং করে মন ভরে না , কোথায় গেলো খোঁজে সবাই তার ঠিকানা কেউ জানে না ৷ কুদ্দুস ভাইও কম যায় না ব্যাগ, চকলেট কিনেছে রাশি রাশি দু:খ তবু মনের মতো খেলনা ছাড়া মুছে যাবে ছেলের হাসি ৷ মোর্শেদ ভাই ট্যুরিজম গাইড কিছু চাইলে বলেন শুধু এখন আর সম্ভব না ভাই সব কিছু হয়ে গেছে প্রিপেইড ৷ তানভির, মামুন, নাজমুল ভাই শান্ত শিষ্ট লক্ষী তাই কোনকিছুর জন্য তাদের খুব বেশি অভিযোগ নাই ৷ পাবনার ডিলার মামুন ভাই কথায় কথায় বলেন - তাই না ? মদ বিয়ার দেখলে বলেন এসব আমি খাই না ৷ তমাল দাদা আর সংগীতা বৌদি সাথে তাদের ছেলে তন্ময় সারাক্ষণ ই খিচুড়ী রাধেন বাবু যদি অন্য কিছু না খায় ! বিপ্লব দাদা মজার মানুষ হাসিটাও দারুণ ভালো, রঙটা তার একটু কালো তাতে কি আর এসে গেলো ৷ আজিম ও বশির ভাইয়ের দারুণ ভাব, চিটাগং বাড়ি সব কিছুতেই মিল তাদের কখনও হয় না আড়ি ৷ আনন্দ বাবুর মনে দারণ আনন্দ পাঁচশ ইউরো খরচ করে বৌয়ের জন্য কিনলো হীরে আফসোস ! বৌয়ের রোদ চশমাও পছন্দ ৷ শিবু দাদা সাধাসিধে আগুন হন লাগলে খিদে ৷ অনু আমার লক্ষী সোনা মনটা তার শ্যামল সবুজ , সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য দেখে হয়ে গেলো আরও অবুঝ ! ফ্রান্সের লেমন নদীর জলে পা ভেজালাম দু'জন মিলে , আকাশ নদী পাহাড় নুয়ে ভালোবাসায় রাখলো ছুঁয়ে ৷ রাইন ফলস দেখতে গিয়ে হঠাৎ আমার কাছ লুকিয়ে , সারপ্রাইজ দিতে তাড়াতাড়ি আনলো কিনে কাপল ঘড়ি ! আমার চোখে খুশি দেখে ওর হাসিতে সোনা ঝরে , সারাজীবন এই ভ্রমণের স্মৃতি থাকবে আমার হৃদয় জুড়ে ! ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ কাতার এয়ার, দেশে ফেরার পথে