না, কেবল দর্শনীয় বলেই নয়। আপনি চুকনগরে যেতে পারেন নিজের দেশের ইতিহাসকে, অতীতকে আরো একটু ভালো করে জেনে আস্তেও। কোথায় এই চুকনগর? কী আছে এখানে? বলছি!
শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম যেসব গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি চুকনগর গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ২০ মে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খুলনার ডুমুরিয়ার ছোট্ট শহর চুকনগরে পাকিস্তানি বর্বর সেনারা নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। অতর্কিত এ হামলা চালিয়ে মুক্তিকামী ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে তারা। বর্তমানে এই স্থানটিতে হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে যা "চুকনগর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ" নামে পরিচিত। প্রতি বছর চুকনগর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চুকনগর গণহত্যা’৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে গণহত্যায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কেবল তাই নয়, দেশের অধিকাংশ জেলার মানুষ চুকনগরে সমবেত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাতরে যাওয়ার জন্য। গ্রামে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। হাজার হাজার মানুষ চুকনগরের পাতোখোলা বিল, কাঁচাবাজার চাঁদনী, ফুটবল মাঠ, কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন শশ্মানে আশ্রয় নেয়। এখন সেসবের কিছু না থাকলেও রয়ে গিয়েছে স্মৃতি। এখানে এলে তার সবটুকুই অনুভব করতে পারবেন আপনি। তবে কেবল এই স্মৃতিস্তম্ভটিই নয়, এখানে এলে আপনি শুনতে পাবেন এমন অনেক কাহিনী, ঘটনা যেগুলো কেবল জানে চুকনগরের মানুষেরাই। তাই চলুন না, ঘুরে আসুন চুকনগর থেকে। আর শুনে আসুন না জানা মুক্তিযুদ্ধকে।
Gp easynet থেকে নেওয়া