Golpo/Adda

Go Back
ভুতের গল্প

আত্মহত্যা 

জ আমি যে গল্পটা লিখবো তা হচ্ছে এক সত্য ঘটনা-সাইফুল নামের একজন বড় ভাই থেকে,সে একটি মেয়েকে ভালবাসতো,মেয়েটির নাম সনিয়া। ঘটনাটি চিটাগং ঘটে,চকবাজার এলাকা। সনিয়া কেন আত্মহত্যা করে তা সবই জানতে পারলাম। আজ এই গল্পটা শেয়ার করব লোকের মুখে শুনতাম চট্টগ্রাম একটি কবরস্থান নাকি খুব হন্টেড। সনিয়ার বিয়ে অন্যদিকে ঠিক হওয়ার কারনে নাকি,সে এই বিয়েতে অমত প্রকাশ করে। কিন্তু পিতা-মাতা বাধ্য করায় সে এই বিয়েতে কদম বাড়ায়,যদিও সাইফুলের সাথে তার প্রেম। বড় ভাবনার বিষয় সাইফুল তাকে ফোন আলাপে বললো আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।অথচ তুমি আমাকে ছেড়ে আজ অন্যের ঘরে পা বাড়ালে। সনিয়া নাকি তাকে বললো দেখ আমি যদি তোমাকে না পাই তাহলে পৃথিবীর কেউই তোমার জায়গা দখল করতে পারবে না,আমাকে বিয়ে করে। দেখ আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে,কিন্তু যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তার ঘরে হয়তো আমার যাওয়া হবে না। সাইফুল এই কথা শুনে অবাক।তোমার বিয়ে সম্পূর্ন ঠিক হয়ে গেল,কিন্তু তার ঘরে জাবানা মানে কি?? সনিয়া সাইফুলকে বললো আচ্ছা তুমি কি আমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারবে?? সাইফুল কান্নারত হয়ে সনিয়াকে বলতে লাগলো দেখ মজা করার একটা সিমা আছে,আজ তোমার বিয়ে অথচ তুমি আমার সাথে মজা করো বাহ সনি বাহ।যদি আমাকে এতই ভালবাসতে তাহলে আরেক জনের সাথে রাজি হলে কেন?? সনিয়া এই কথা শুনে ফোন কেটে দেয়! এবং মোবাইল বন্ধ করে রাখে। পরের দিন সনিয়ার বিয়ে–পুরো বাড়ীটা আজ আনন্দের মেলা।এই দিকে সাইফুল যেন জাহান্নামের শেষ ঠিকানায় আছে। বিশেষ করে চিটাগং বিয়ে হয় রাতের বেলায়। -সাইফুলকে দাওয়াতের আমন্ত্রন জানালেন সনিয়া।তাও আবার এসএমএস করে।এসএমএস শেষে সনিয়া আবার ফোন আফ রাখে। এসএমএস এ লেখা ছিল-আজ তোমার খুব কষ্টের দিন,তা আমি যানি,হুম তুমি আমাকে অনেক ভালবাসো তাও যানি।আমি অন্যের ঠিকানায় যাওয়ার আগে আমাকে একবার দেখে যাইও।বিয়ে খাবার না খেয়ে যাবে না ,আর হয়তো আমাকে দেখতে আসলে তোমার খেতেও মন চাইবেনা।তাই আমাকে দেখে যাওয়ার দাওয়াত রইল। ইতি সনিয়া সাইফুল রাত ৮টার দিকে সনিয়াদের বাসার কাছে আসেন।এসেই সাইফুল লক্ষ্য করে পুরো বাড়ীতে কেমন যানি কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে,সাইফুল অবাক হলেন বিয়ের বাড়ীতে কান্না! সাইফুল কোনো এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলো এই বাড়ীতে আজকে না বিয়ে?? লোকটি জবাবে বললো হ্যাঁ বিয়ে।তবে যার বিয়ে সে আর নেই!সে আত্মহত্যা করে মারা যায় কিছুক্ষন আগে। সাইফুল এই কথা শুনা মাত্রই ও আল্লাহ বলে একটি চিৎকার করলেন শুধু।আর মাটিতে লুটে পড়েন।সাইফুলে সাথে ২জন বন্ধু আসে।তারা সাইফুলকে শান্তনা দিতে লাগলো। ????ঘটনা কিন্তু এখানেই শেষ নয়।সনিয়ার বিয়ের পরিবর্তে মৃত্যুই উপহার পেয়েছে তার পিতা-মাতা। কিছুক্ষন পর সনিয়ার লাশকে পুলিশ এসে পোসমার্টামে নিয়ে যায়।এই দিকে বিয়ের সব আয়োজন এক পলকেই সব শেষ।স্বামী বেচারা আস্তা অলক্ষী বলতে তাকে সমাজের লোকেরা । যাই হোক সনিয়ার লাশ পরের দিন সন্ধ্যায় দাপন করা হয়,একটি কবরস্থানে। সনিয়াকে দেরি করে দাপন করার মূল কারন,শুধু মাত্র তার বাবা বিদেশ থেকে এসে তাকে দেখবে বলে। লাশ দাপন করার সময়-হঠাৎ কিছুক্ষন পর পর মাটি যেন সরে যায়,কবরের উপর থেকে।লোকজন মাটি চাপা দিয়েই যাচ্ছে শুধু,কিন্তু এই কি মাটি কেন এমন করছে।উপরের মাটি বার বার প্লেন হয় কেন? সবাই কিছুটা ভয় পায়।এর পরে মসজিদের ঈমাম সাহেবকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন হুজুর একটু দেখুনতো কবরের মাটি বার বার সরে যায় কেন!!!!!!ঈমাম সাহেব দেখলেন,এবং তিনি একচিমটি মাটিতে কিছু একটা পড়ে ওই মাটি কবরের উপর চিটকে দেন।এর পর দেখা গেল সব ঠিক হয়ে গেল। এই দিকে সাইফুলকে কবরের কাছ থেকে কোন ভাবেই আনা যাচ্ছে না। যাই হোক ঘটনা ক্রমানয়ে বাড়তে লাগলো। সনিয়াকে কবর দিয়ে আসার পর।ওই মসজিদের ঈমাম সাহেব চাকুরী ছেড়ে দেন,কিছুদিন পরেই। সবাই জানতে চাইলেন কেন??কি কারনে আপনি চলে যাবেন??ঈমান সাহেব কিছুই বলছেন না।তিনি শুধু বার বার বলেন আমি চলে যাব।আমি আর এই মসজিদে চাকুরী করতে পারবো না।সবাই ঈমাম সাহেবকে অতি অনুরোধ করে বলালেন তিনি কেন চলে যেতে চান।ঈমাম সাহেব বললেন সনিয়া নামের ওই মেয়েটাকে এখানে কবর দেওয়ার পর সেদিন রাতেই আমি লক্ষ্য করলাম ওই কবরের উপর কেউ একজন বসে থাকতে।আমি ভাবলাম এত রাত এখানে কে বসে আছে,,,,হয়তো মেয়েটির আপনজন কেউবা।আমি এই ভেবে কবরের দিকে অগ্রসর হলাম।হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলাম সে লোকটি আমার দিকে উলটো এগিয়ে আসছে,লোকটি ছিল এজজন মেয়ে টাইপের।সে আমার সামনে হুট করে এসে বললো তোকে কে বলেছে আমার কবরে আসতাগফেরুল্লাহ পড়ে মাটি ফু দিয়ে চিটকাতে??কাজটা ভাল করছ নাই।ঈমাম সাহেব এই দৃশ্য দেখে একটি চিৎকার করেন।।এক চিৎকারেই তার পুরো শরীর থতথরে কাঁপছে।চিৎকার করার পর ঈমাম সাহেব মেয়েটিকে আর দেখতে পায়নি। কোথায় যেন ভ্যানিস হয়ে গেল। ঈমাম সাহেব দৌড়ে তার কোয়াটারে যান।এর পরে তিনি দুই একজনকে ফোন করেন ওই রাতেই।তিনি ভয় পেয়েছেন তাই তার সাথে অন্তত কেউ একজন এসে ঘুমাতে। ঈমাম সাহেব আরো বললেন -আমি ঘুমালেও ভয়ানক স্বপ্ন দেখি,,আমি দেখি আমার শরীরের উপর বাস উলটে পড়লো।অথবা আমি নিজেই নিজের লাশ দেখি???? ঈমাম সাহেব এই সব ঘটনা সংক্ষেপে বলেন সভাপতি ও অন্নান্যদের কাছে। ঈমাম সাহেব বলেন আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলেছেন এক ভয়ানক স্বপ্নে সে মেয়েটি। ঈমাম সাহেব চলে গেলেন ভয়ে। এই দিকে পুরো এলাকা খবরটি জানতে শুরু করলো। কিছুদিন যাওয়ার পর আবারও সনিয়ার কবর থেকে মাটি সরে যেতে লাগলো।মাটি সরতে সরতে এবার বাঁশের অংশও দেখা যাচ্ছে।কিন্তু কেউই ভয়ে কবরের কাছে যায়নি।। এই দিকে সনিয়ার মা বাবা হঠাৎ তাদের বাসভবন থেকে চলে যান,,তারা অন্য একটি বাড়ীতে ভাড়া উঠেন। বাড়ীর কিছু ভাড়াটিরা বললেছেন বিভিন্ন লোকদের কাছে-হয়তো সনিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বা সনিয়ার শোকে তারা এখান থেকে বাসভবন ত্যাগ করেন।বাকিটা আল্লাহ যানে। এই দিকে সাইফুলের পৃথিবীটা পুরোই অন্ধকারের মত লাগছে। কিন্তু সাইফুল সনিয়ার মত আত্মহত্যা করেনি।ছেলেটা বেশ শক্ত এই বিষয়ে।???? যাই হোক সনিয়ার কবরে মাটি সরেই যাচ্ছে দিনের পর দিন।কেউ ভয়ে ওই দিকে পা বাড়াচ্ছে না।তার বাবা ভাই ওরাও ভয় পায়। কিন্তু সাইফুল, সনিয়ার কবরের এই দৃশ্যকে মেনে নিতে না পারায়,সে সনিয়ার কবরে মাটি তুলে দেয়। সব ছাইতে অবাক হলেন এলাকার লোকজন।আরে এই কি ব্যাপার সাইফুল মাটি দেওয়ার পর পরই কবরটা যেন নতুন রুপ ধারন করলো।কবরের মাটিও আর সরে যাচ্ছে না। এর পরে কবর ঠিক ঠাক বাহ। সাইফুল তার বন্দুদের বলল যেদিন সনিয়ার কবরে মাটি তুলে দিই।ঠিক সেদিন রাতে আমি স্বপ্ন দেখি সনিয়া আমার সপ্নে আসে আর বলে,,,৷৷ আজ আমি অনেক আনন্দিত আমার কবরের আশা পুরুন হয়েছে।সাইফুল তুমি ভাল থেকো,তুমি তোমার জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজাও,নামাজ পড়ো,আত্মহত্যা কখনো কর না।আত্মহত্যার জীবন অনেক কষ্টের,অনেক কষ্টের, এটাই ছিল তার স্বপ্ন।এর পরে তার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বন্ধুগন আত্মহত্যা করলে জাহান্নাম যেতে হয় পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে।আর এই ছাড়াও একজন মৃত ব্যক্তি সে নিজেই স্বপ্নে যোগে বলেছেন আত্মহত্যা অনেক কষ্টের,অনেক কষ্টের। আমার মতে আত্মহত্যাই কি সব সমাধান? উত্তরঃনা। কারন আপনার আত্মহত্যার ফলে ভেঙ্গে যায় অন্যের জীবন।নষ্ট হয় আপনার পরকালের জীবন।