ছোট বেলা মায়ের মুখে শুনেছি হযরত বড় পীর এত বড় এবং মহান আল্লাহর অলি ছিলেন যে,তিনি মায়ের পেটে আঠারো পারা পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্ত করেছিলেন । আর এই মহান বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব মায়ের পেটে থেকেই আল্লাহ পাকের অপার মহিমায় এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এ ঘটণা প্রায়শই লোকের মুখে মুখে শুনা যায় । বিদ্যালয়ে যখন পড়ি তখন পাঠ্য পুস্তকে পড়েছিলাম হযরত বড় পীরের সততার কথা । বাগদাদ শরীফ যাওয়ার পথে দস্যুদের হাতে পড়ে স্বীকার করেছিলেন আমার আম্মাজান বগলের আস্তিনে সেলাই করে দিয়েছেন চল্লিশ দিনার এবং বলেছেন,সত্য বলার জন্য । তাই সত্যই বলছি মায়ের নির্দেশে । দস্যুদল শুধু অবাকই হয়নি সকলে স্ব দল বলে উনার কাছে তওবা ও প্রতিজ্ঞা করে দস্যুবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছিলো । এমন সত্যের প্রতীক নবী রাসূল ছাড়া মানব সমাজে দ্বিতীয় আর আছে বলে আমার অন্তত জানা নাই । বাংলাদেশ হতে বাগদাদ শরীফে যাতায়াত খুব কষ্টকর । কারণ যাত্রা পথে আমাদের ছিলো বাংলাদেশ এ প্লেন জার্নি তারপর জর্দান হতে বাই রোড,বাগদাদ শরীফ । পথে নিরাপত্তা চেক এর অন্ত ছিলনা । তবে কেন জানতাম না এবং জানার চেষ্টাও করিনি । রাতে পৌছালাম সেই ছোটবেলা হতে লালিত স্বপ্নপুরী বিশ্বখ্যাত বাগদাদ নগরীতে ।
বাগদাদ নগরীতে বিভিন্ন আলোক সজ্জায় সজ্জিত পুরো নগরী প্রথম দর্শনে মনে হয়েছিলো স্বপ্নপুরীই বটে । বর্তমান বিশ্বে মায়ের নির্দেশ মান্যতো দূরের কথা অনেক স্থানেই কুসন্তানেরা শুনেছি মা বাবাকে অপদস্ত করতেও পিছ পা হয় না । তাই বোধ করি বিশ্বব্যাপি এ অরাজকতা আর অশান্তি,হানাহানি,কাটাকাটি ফলশ্রুতিতে বিরাট সামাজিক অবক্ষয় সর্বত্র বিরাজমান । পরকালে পুরস্কারতো নির্ধারিত থাকবেই । অনেক মনীষি বলেছেন,যে সন্তান পিতা মাতাকে সম্মান করে না সে পৃথিবীর কাউকেই সম্মান দেখায় না । এটা একেবারে জলবত তরলং ।
সেই ছোট্ট বেলা মায়ের মুখে এবং পাঠ্য বইয়ে পড়া বিশ্বের মহামানব অলৌকিক ক্ষমতাধর হযরত বড় পীর গাউসেল আযম উনার আবাস স্থলেও মাযার শরীফ অবস্থিত পবিত্র বাগদাদ নগরী দেখার স্বপ্ন সাধ লালিত হয়ে এসেছে বছরের পর বছর । সেই স্বপ্ন সাধ পূরণ হলো ২০০১ ইং সনে নভেম্বর মাসে ।