আমি লাবন্যকে চিনি সে তার পরীক্ষা এলে নিজের লাবন্যতা হারিয়ে ফেলে। আমাকে অনুসরনে ওর ত্রুটি নগন্য । ফলাফল অবশেষে ওই প্রথম হয় পরীক্ষায়।
তার কোন বান্ধবী নেই।কারণ কারো সাথে ওর কথা বলতে নাকি ইচ্ছেই হয় না । কয়েক মাস হলো সে এক বান্ধবী পেয়েছে। নাম তার তানিয়া । ওদের দুজনের বাবাদের দাদীরা ছিলেন আপন দু বোন ।ওই সম্পর্কের জের ধরে ওদের বাবারা দুজন ভাই ভাই আর ওরা দুজন বোন । তানিয়া অন্য স্কুল ছেড়ে লাবল্যের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এদিকে কোভিড-১৯ মহামরিতে দু বছর পর এবারই প্রথম বার্ষিক পরীক্ষা হলো। তাই দুজনেই খুব শংকিত । লাবন্য ১ম তাই ওর আসন ১ম কক্ষের ১ম বেঞ্চে কিন্তু তানিয়ার রোল ভর্তির সুবাদে সবার শেষ হলেও আসন তার শেষ কক্ষের শেষ বেঞ্চে নাই । আসন খুঁজে খুঁজে পেরেশান সবাই । আসলে তার সিট ফেলাই হয় নাই।কি ভয়ানক । ব্যবস্থা শেষে হয়েছিল কিন্তু ততক্ষনে অন্য সব কক্ষে খাতা ও প্রশ্ন দেওয়া হয়ে গেছে।১০ মিনিটি পর ওদের কক্ষে প্রশ্ন দেওয়া হলেও খাতা নেওয়া হয় সবার মত একই সময়ে। তানিয়া তাই একটি প্রশ্নের ঘ অংশের উওর দু লাইন মাত্র লিখতে পেরেছে।ঘটনা ১ শেষ।ঘটনা ২ হলো গনিত পরীক্ষায় জনৈক মেডামের পরামর্শক্রমে সে ৩টি প্রশ্নের উওর দিয়েছে । আসলে দিতে হত ৪টি।তার স্কুলে সে ১ম ছিল । এভাবে আশাহত হয়ে ৩য় পরীক্ষা দিয়েছে সে। সে এ পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উওর দিয়েছে। কোন মেডাম বা স্যারকে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। লাবল্য জানতে চায় তুমি letter দিয়েছো ? আজ কিন্তু লেখা ছিল suppose your name is..... কথা শেষ না হতেই তানিয়া উৎকন্ঠিত হয়ে বলে আমিতো ওটা দেখিনি । প্রশ্নে Prize giving ceremony of your school দেখে লেখা শুরু করি । আমি তো আমার নামই লিখেছি-তানিয়া। ও আমার এবার এসব কি হচ্ছে! লাবন্য হেসে বলে আরে suppose your name is Tania দেওয়া ছিল।পরে তানিয়া একটু হেসেছে। কিন্তু ১ম হবার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কষ্টে সে তার কোচিং এর ক্লাস পার্টিতে অংশ নেয়নি। তার সাথে সমবেদনা প্রকাশ করে লাবন্যও অংশ নেয়নি। ওরা দু জনেই আমার “এ প্লাস প্রাইভেট প্রোগ্রাম”এর ছাত্রী।