আরিয়ান: মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। সুন্দর চরিত্রের অধিকারী একজন বালক।
রাজিব: ধনী পরিবারের সন্তান। পাটি ও নেশা করে বাবার টাকা খরচ করাই তার কাজ।
আরিয়ান ও রাজিবের বন্ধুরা: সব সময় রাজিবের সাথেই থাকে আর কীভাবে রাজিবের টাকা খরচ করানো যায়। আর বিভিন্ন ধরনের বাজি ধরাই তাদের কাজ।
রিয়ান: একঘেয়েমি সভাবের ছেলে। আরিয়ানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আরিয়ানের সুন্দর চরিত্রের কারনে মানুষ তার প্রশংসা করায় তার হিংসে হয়।
আরিয়ান: কলেজে য়াচ্ছে পথে এক ভাইয়ের সাথে দেখা হওায় তাকে সালাম দিলো।
রাজিব: বন্ধুদের সাথে কলেজে যাচ্ছে অনেক বেশি ভাব নিয়ে মটরস সাইকেলে।
রিয়ান: বন্ধুদের সাথে যুক্ত হয়।
সবাই মিলে কলেজে উপস্থিত হলো। (সবাই মিলে কলেজে মাঠে ছোট একটি গান গাইলো আর সিগারেট খাচ্ছে)। তাদের গান গাওয়া শেষ হতেই আরিয়ান কলেজে উপস্থিত হলো।
রাজিব: এই আরিয়ান কেমন আচিস (হেসে বললেন)।
আরিয়ান: ভালোই আছি বন্ধু আল্লাহর রহমতে।
রিয়ান: (একটু রেগে রাজিবের উদ্দেশ্য বললো) য়ানিসনা ও সব সময় ভালোই থাকে।
আরিয়ান ওদের কথায় কিছু মনে না ক্লাসের উদ্দেশ্য রওনা হলো। রিয়ান তার বন্ধুদের কাছে বাজির ২০ হাজার টাকা পেতো। (IPL এক মেচ তার কাছে হেরে গিয়ে ছিল)
রিয়ান: (বন্ধুদের উদ্দেশ্য বললো ) সোন আমার টাকা দিবি কবে আমি আর তোদের সময় দিতে পারবো না।
বন্ধুরা: আর কয়েক দিন সময় দে টাকা দিয়ে দেবো।
রিয়ান: (একটু ভেবে) শোন আমরা আরো একটি বাজি ধরতে পারি আমি য়দি হারি তবে তোদের আর টাকা দিতে হবে না।
বন্দুরা: (সেখান থেকে উঠে একটু দুরে গিয়ে বুদ্ধি করলো আর ফিরে এসে বললো) কী বাজি বল।
রিয়ান:আরিয়ান কে মাদক আসক্ত করতে পারলে তোরা জিতে য়াবি নয়তো
বন্ধুরা : (একটু হেসে ) নয়লে কী টাকা দিয়ে দিবো এ আর কী কাজ।
তার পর দিন থেকে রাজিব আরিয়ানের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং ওর সাথেই থাকে এভাবে চলে কয়েক দিন। একদিন
রাজিব: বন্ধু তোরেত সবাই ক্ষেত্র বলে
আরিয়ানা: কেন বন্ধু আমি আবার কী করলাম
রাজিব: তুই তো আগের যুগেই পরে আচিস একটু আধুনিক হও
আরিয়ান: আমি কি করবো আমি এমনি
রাজিব: তোকে কিছু করতে হবে না চল আমার সাথে
কিছু ক্ষন পর
আরিয়ানের অন্য রুপ আধুনিক জামা কাপড় চোখ সানগ্লাস আগে ও পরে আকাশ পাতাও ব্যবধান। বন্ধুরা তো ওবাক। বন্ধুদের তার প্রতি এই বিশেষ নজর তার ভালোই লাগলো
আরিয়ান: রাজিব বন্ধু তোকে অনেক ধন্যবাদ
রাজিব: আরে ঠিক আছে
এক দিন রাজিব ও বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য শেবন করছিলো সেখানে আরিয়ান গিয়ে উপস্থিত হয়
রাজিব: বন্ধু নে একটা সিগারেট খাওয়
আরিয়ান: না বন্ধু আমি এ সব খাই না
বন্ধুরা: আরে রাজিব ওর শুধুই বাইরে পরিবর্তন করলে কি হবে ও তো সই ক্ষতই রইছে । আরিয়ান রেগে গিয়ে সিগারেটে টান দেয়।
আরিয়ান: কাসতে কাসতে এগুলো তোরা খাস কিভাবে
রাজিব: হেসে আসতে আসতে সব ঠিক হয়ে য়াবে
এভাবেই শুরু হোল আরিয়ানের জীবনের পতন। এভাবে চলে যায় ৬ মাস এখন আরিয়ান একজন মাদক আসক্ত মানুষ। এমন কোন মাদক দ্রব্য নেই যে সে তা ব্যবহার করেনি
আরিয়ানকে সবাই এখন খারাপ ভাবে তাকে আর কেউ পছন্দ করে না। একদিন বন্ধুরা মিলে তাদের বাজিতে জেতার পাটি আয়োজন করে আরিয়ান ও রাজিব একটু পরেই আসবে হঠাৎ বন্ধুদের মধ্যে লড়াই বেধে য়ায় একে অপরকে মারধোর করে
রিয়ন: তোদের সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই আমি তোদের দেখে নিব
রিয়ন মাথা গরোম করে চলে যায় তার একটু পরেই দুই জন আসে। বন্ধুরা ওদের সব খুলে বলে
আরিয়ান : দেখ তোদের এই ভেজাকের মধ্যে আমি নেই বলে চলে গেলো ।
তার একটু পরে
বন্ধুরা :আজ রিয়নকে আমরা খুন কব আর আরিয়ান আমাদের সাথে না যাওয়ার কারণে ওকে ফাসিয়ে দিবো
রাজিব: শোন ওর মোবাইল ফোন আমার কাছে আমরা খুন করে এখানে সেটা রেখে আসবো
এই বলে তারা মটরস সাইকেল নিয়ে রিয়নের উদ্দেশ্য রওনা হয় কিছু দুর য়াওয়ার পর রিয়নকে দেখলো
বন্ধরা: ঐ দেখ রাজিব রিয়ন ওকে আজ শেষ করতেই হবে।
রাজিব ওদের কথা শুনে বন্দুক তাক করে এবং গুলি করে। রিয়ন সেখানেই মারা যায়। রাজিব আরিয়ানের মোবাইল সেখানে ফেলে চলে যায়।
রাজিব: দেখ এবার আমাদের সাথে না আসার ফল। মারলাম আমরা আর ফাসবি তুই ( আরিয়ানকে উদ্দেশ্য করে)
তার সবাই দূরত্ব সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছু খন পরেই সেখান দিয়ে একটি লোক যাওয়ার সময় লাশটি দেখে এবং পুলিশকে ফোন করে তা বলে। পুলিশ কিছু খন পরেই সেখান উপস্থিত হয়। তারা আসে পাশে দেখে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। রাজিব ও তার বন্ধুরা ও সেখানে উপস্থিত হয়। (মনে হবে তারা এই মাএ ঘুম থেকে উঠে এসেছে)
পুলিশ: আপনারা কেউ কি এই মোবাইল ফোনটা চিনেন নাকি
রাজিব: ভির ঠেলে এগিয়ে গিয়ে আমি চিনি স্যার এটা আমাদের বন্ধু আরিয়ানের। রিয়ন ও আরিয়ানের মধ্যে গত কাল একটা যামেলা হয়েছিল আমরাও সেখানে ছিলাম।
পুলিশ: তার মানে তোমার বলতে চাচ্ছ যে এই একে মেরে ফেলে চলে গেছে।
বন্ধুরা: আমাদের তো তাই মনে হয়। আপনারা ওকে ধরলেই বোঝা যাবে।
আরিয়ানের একজন বন্ধু সেখান দিয়ে যাওয়া সময় সেই কথাগুলো শুনে ফলে এবং আরিয়ানের বাড়ির উদ্দেশ্য দৌড় দেওয়া শুরু করে। কিছু খন পরেই আরিয়ানের বাড়ি উপস্থিত হয়
আরিয়ানের বন্ধু: আরিয়ান বাড়ি আচাস নাকি (হাপাতে হাপাতে বললো)
আরিয়ান : কি হয়েছে
আরিয়ানের বন্ধু: তোকে পুলিশ ধরতে আসছে পালা
আরিয়ান: (খুব অবাক) কেন আমি আবার কি করলাম
আরিয়ানের বন্ধু: আরে রিয়ন খুন হয়েছে। আর পুলিশ তোকে সন্দেহ করছে পালা এখন পরে যা হয় হবে।
কিছু খন পরেই পুলিশকে বাড়ির দিকে আসতে দেখে আরিয়ানের বন্ধু আরিয়ান পুলিশ আসছে পালা। আরিয়ান দৌড়ে পালায়। পুলিশ আরিয়ানকে পালাতে দেখে আরিয়ানের পিছু পিছু ধাওয়া করে