Blog

Go Back
Tech

ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে কি কি জানা প্রয়োজন

কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন

আপনি যদি  ছোট উদ্যাক্তা হয়ে থাকেন তাহলে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু আগেই ব্যাসিক কিছু কাজ জানা প্রয়োজন প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ বানানো এবং সেটা পরিচালনা করার দক্ষতা অর্জন করা ফেসবুক মার্কেটিং জানা  এবং ফেসবুক পেজ বুষ্ট করার জন্য ডুয়েল-কারেন্সি কার্ড বানানো সে জন্য আপনাকে পাসর্পোট আগে বানিয়ে রাখতে হবে। 
ব্যাসিক কিছু ফটো এডিটিং জানা,এবং ব্যাসিক কিছু ভিডিও এডিটিং জানা,গুগল সিট সম্পর্কে ধারনা রাখা,কুরিয়ায়ে প্রডাক্ট কিভাবে  এন্ট্রি করবেন সে সম্পর্কে জানা।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য উপজেলা বা জেলা সদরে থাকা প্রয়োজন বা আপনি এমন জায়গায় আছেন যেখান থেকে কুরিয়ারে পার্সেল দেয়া সহজ হবে তবে সবচেয়ে ভালো হয় বিভাগীয় শহরে থাকতে পারা এতে করে আপনি ঘরে বসেই কুরিয়ারে পার্সেল দিতে পাবেন। কোন জামেলা ছাড়াই।
ছোট খাটো অল্প পুজির ব্যবসায় এতটুকু জানলেই আপনি একাই এই ব্যবসা শুরু করতে পরবেন। 

প্রফেশনাল ব্যবসা শুরু করার জন্যে কি করতে হবে 

প্রথমে ওয়েবসাইট প্রস্তুত করতে হবে যেখানে সমস্ত উপকরণ সাজানো থাকবে। এই ওয়েবসাইট গুলি অনেক রকম হয়। সস্তা থেকে শুরু করে দামি। খাবার জিনিস থেকে সাজসজ্জার জিনিস সবই এ-কমার্স  এর সাহায্যে বিক্রি করা যায় তবে পোশাকের চাহিদাই বেশি থাকে। গুগলে আমরা সবাই কোনো জিনিস সার্চ করি পরপর অনেক ওয়েবসাইট আসে এই ওয়েবসাইট প্রাইস সাহায্য করে ওয়েবসাইট রেঙ্কিং অর্থাৎ কোনটার পর কোনটা থাকবে।
একটা দামি ওয়েবসাইট সাহায্য করে ওয়েবসাইট এর প্রেসেন্টেশন এবং সেটা গুগল পেজের কোথায় থাকবে। সাধারণতঃ দুই তিন হাজার থেকে আট নয় হাজার এর মধ্যে একটা ওয়েবসাইট আপনি কিনতে পারবেন। আপনাকে এই ওয়েবসাইট ডেকোরেশন এর ব্যাপারটা খুব মনোযোগ দিতে হবে। যে কোনো একটা জিনিস তার সাথে তার প্রাইস, এভেইলবিলিটি, ফিচারস, কদিন এর মধ্যে একজন ক্লায়েন্ট সেই জিনিস হাতে পাবে, জিনিসটির ব্যবহারের লাস্ট ডেট  সবই  যেন  সহজ এবং সুন্দর ভাবে সেখানে ফুটে ওঠে।

প্রফেশনাল  কথাটি বর্তমানে আমাদের লাইফের সাথে ভীষণ ভাবে জড়িত। প্রথম দেখাতেই ইম্প্রেশন জমাতে হবে এটাই হবে তোমার মেন মোটো আর এই জন্যেই এই কম্পিটিটিভ দুনিয়াতে নিজের জায়গা পাকাপাকি ভাবে সুস্থির করতে হলে দরকার তোমাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় মনোযোগ দেওয়া। তবে নিজস্য ওয়েবসাইট তৈরী না করে সাধারণ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকেও নিজের এ-কমার্স ব্যবসা করা যায়।  তার জন্যে একটা গ্রূপ বানিয়ে সেল করলেও বেশ ভালোভাবে চলতে পারে।  তাই যেহেতু এটা খরচ সাপেক্ষ নয় তাই আপনি কি জিনিস বিক্রি করবেন সেটা ঠিক করে এই প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।

বর্তমান দিনে এডভার্টাইসমেন্ট যে কোনো নতুন জিনিসকে সবার সামনে তুলে ধরে।আর এ-কমার্স এর ক্ষেত্রে  যখন কোনো প্রোডাক্টকে সর্বসম্মুখে লঞ্চ করতে হবে সবার মধ্যে আপনার এই চেষ্টাকে ছড়িয়ে দিতে হবে  যাতে সবাই দেখে পছন্দ করে সেটা কেনে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার এরিয়ার মধ্যে আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানীর ব্যাপারে এডভারটাইস করতে পারেন। ব্যাক্তিগত ভাবে কথা বলতে পারেন কারণ বিক্রির পরিমানের ওপরেই আপনার ইনকাম নির্ভর করবে।  ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের সাহায্যে সব কোম্পানি গুলোই তাদের পপুলারিটি বাড়ায়। সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম সহ বিজ্ঞাপনের ডিটেলস যেন থাকে সেটা খেয়াল রাখা। সারাদিনে জিনিস ডেলিভারি দেয়ার জন্যে একদিন বা একমাসের জন্যে আপনাকে কত পেমেন্ট করতে হবে সেই দিকে খেয়াল রাখাও আপনার কাজ। এক্ষেত্রে একটু উদারতা গ্রহণ করাই আপনার জন্যে ভালো হবে।  

ই -কমার্স এর ব্যাবসার ক্ষেত্রে প্রফেশনাল ব্যাঙ্ক একাউন্ট থাকাটা খুব দরকার।  কেউ কোনো জিনিস অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট একাউন্ট এ সেই টাকা চলে যাবে। এছাড়া বর্তমানে যেসব অনলাইন ট্রানসাকশান পদ্ধতি চলে সেসব ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে, দরকার হলে শিখতে হবে।তোমার ইমেইল আইডি প্রফেশনাল করতে হবে।
কোনও গ্রাহক কোনো জিনিস কেনার সাথে সাথে তাকে একটি স্বাগত ইমেল প্রেরণ করুন এতে সে খুশি হবে , জিনিসটি পছন্দ হয়েছে কিনা বা যথাযথ হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাও করতে পারেন।মাঝে মাঝে এক কোড এবং বিনামূল্যে উপহার সরবরাহ করুন।

ব্যবসা বাড়ানোর কয়েকটি টিপস

নতুন ছাড়ের অফার, পণ্যের টিপস, এবং উপযুক্ত হলে কোম্পানির খবরের গ্রাহকদের সতর্ক করতে নিয়মিত নিউজলেটারগুলি প্রেরণ করুন।গ্রাহকদের সম্প্রতি কেনা আইটেমগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে সহায়তা করতে প্রাসঙ্গিক সামগ্রী ভাগ করুন।কোনো মরসুমে নিজস্য উপহার দেওয়ার প্রচারের জন্য ছুটির দিনে সময় মতো একটি সহাস্য প্রচারণা করতে পারেন।
আপনার সর্বোচ্চ মূল্যবান গ্রাহকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন। তাদের ক্রয়ের জন্য আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি ব্যক্তিগত নোট প্রেরণ করুন।যদি কেউ আপনার সাইটে গিয়ে কোনো জিনিস ক্রয় না করে তবে তার অভিজ্ঞতা আপনি জানার একটি চেষ্টা করতে পারেন। কীভাবে এটি উন্নত করতে পারেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

উপসংহার 

এসব দিক বিবেচনা করে বলা যায় ই -কমার্স এখন সাধারণ খুচরা ব্যবসায়ের চেয়ে অনেকটাই ভালো।  কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্যে কয়েক লক্ষ টাকার দরকার।  যা সবার পক্ষে সম্ভব না। ই -কমার্স তাদের কাছে নিজস্য ব্যবসা  শুরু করার একটি কৌশল বলা যেতে পারে। নিজস্য সময়ে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করা যায়।  কোনো বাধ্যবাধতার বা মাথাব্যাথার দরকার নেই।  শুধু প্রোডাক্টের উপযুক্ত দাম দিয়ে যে কেউ মাসে কয়েক হাজার টাকা লাভ করতে পারে।  তাই নতুন উদ্দমে আপনার ব্যবসা শুরু করে  দিন।  
এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ নিতে বা শিখতে সরাসরি ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন 👇

                                  facebook


Leave a Reply