Blog

Go Back
Tech

কম্পিউটার ভালো রাখার কার্যকারী উপায়

১.কম্পিউটার ভালো এবং নতুনের মতো রাখার উপায় হল

উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা
কম্পিউটারটিকে ধুলাবালি মুক্ত এমন কোনো পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা আছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এবং সরাসরি সূর্যের আলো তাপ প্রবেশ করে এমন স্থান থেকে কম্পিউটারকে দূরে রাখুন। কম্পিউটারের তার, সুইচ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ যথাসম্ভব শিশু গৃহপালিত পশু-পাখির নাগালের বাইরে রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় ফাইল, অ্যানিমেশন ভিজ্যুয়াল এফেক্ট দূর
করা
কম্পিউটারে জমা হওয়া অপ্রয়োজনীয় ফাইল, আকর্ষণীয় অ্যানিমেশন ইত্যাদি কাজের গতি কমিয়ে দেয়। উক্ত গতি ঠিক করতে পারে ক্লিনআপ প্রোগ্রাম। সেক্ষেত্রে যেকোনো ক্লিনার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইন্সটল করে দিন। প্রয়োজনবোধে অপারেটিং সিস্টেম রিইনস্টল করুন

আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা 
কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাসের সর্বাধুনিক ভার্সন ব্যবহার করুন নিয়মিত আপডেট করুন। এরপর নিয়মিত ভাইরাস চেকিং, স্ক্যানিং চালু রাখুন। অন্যথায় ভাইরাসের কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে

২.অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমা না রাখা

বর্তমানে মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরার কল্যাণে এখন অনেক অনেক ছবি তোলা যায় সাথে সেলফি তো আছে বটেই। কিন্তু এসকল ছবি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা কোথায়? একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের

ক্যামেরায় ছবি তুললে সেই ছবি এখন কমপক্ষে থেকে মেগাবাইট জায়গা দখল করে নেয়। আপনি যদি সবগুলো পিকচার আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেস্কটপে রেখে দিতে চান তাহলে সেটি জায়গা

দখল করে নেবেই। আপনি ল্যাপটপ, ডেক্সটপের জায়গা যত বেশি পরিমাণ ভর্তি করে রাখবেন তত আপনার কাজ করতে অসুবিধা সৃষ্টি হবে। তাই ছবি গুলো বেছে বেছে ল্যাপটপের মধ্যে রাখুন। আর এখন ছবি

ডিভাইসে না রেখে অনলাইনে রাখার মতো পর্যাপ্ত ড্রাইভ রয়েছে যেমনগুগল ড্রাইভগুগল ফটোস ইত্যাদি। আপনি এগুলোতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়ে ফ্রিতে ১৫ জিবি ব্যবহার করতে পারবেন।

৩.সলিড স্টেট হার্ড ড্রাইভ চালানো

হার্ড ড্রাইভের গতির কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। সমস্যার সমাধানে কম্পিউটারে সাধারণ হার্ড ড্রাইভের বদলে ব্যবহার করুন সলিড স্টেট ড্রাইভ। এটি কম্পিউটার চালু হওয়ার গতিও বাড়াবে। নিয়মিত হার্ড ডিস্ক এরর চেকিং চালু রাখুন। 

৪.স্টার্ট আপ সফটওয়্যার কমানো

কম্পিউটার স্টার্ট করার সময় যেসব সফটওয়্যার চালু হয় সেগুলো লক্ষ্য করুন। এখানে বেশি সফটওয়্যার থাকলে তা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেবে। এজন্য স্টার্ট মেনু থেকে “Msconfig” টাইপ করুন। এরপর

“Startup”- যান। এখানেই কম্পিউটার চালুর সময়কার সফটওয়্যারগুলো পাবেন। তবে এখান থেকে যে কোন কিছু ডিলিট করার আগে ভালোভাবে জেনে নিন। অন্যথায় তা কম্পিউটারের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এক্ষেত্রে দরকারি তথ্যাদি বা ফাইলগুলো ব্যাকআপ সিডি বা ড্রাইভে সংরক্ষণ করা উচিত। কম্পিউটার থেকে হারিয়ে যাওয়া ফাইল পুনরুদ্ধার

করতে বা বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি (ডিস্ক এরর, ফাইল অ্যালোকেশন এরর, ক্লাস্টার চেইন, ব্যাড সেক্টর) চিহ্নিত করতে নরটন ডিস্ক, মেকঅ্যাপি, পিসি টুলস প্রভৃতি ডায়াগনস্টিক সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫.ক্লিন উইন্ডোজ ইনস্টল করা

কম্পিউটারে যদি অসংখ্য সফটওয়্যার ভাইরাসের ছড়াছড়ি থাকে তাহলে তার সব সফটওয়্যার নতুন করে ইনস্টল করাই ভালো। এজন্য উইন্ডোজের ইনস্টলের সিডি বা ইউএসবি স্টিক সংগ্রহ করুন। এরপর

নির্দেশনা অনুযায়ী ইনস্টল করুন। সম্ভব হলে হার্ড ডিস্ক পার্টিশন সি” (অথবা আপনি যেখানে উইন্ডোজ রাখতে চান) সম্পূর্ণ ফরম্যাট করে নতুন করে সেখানে উইন্ডোজ ইনস্টল করুন।

৬.ব্রাউজারের ক্যাশ পরিষ্কার করা

আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে যদি নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাহলে এর ক্যাশে বহু ফাইল জমা হতে পারে। ফাইলগুলো দূর করার জন্য সেটিংস মেনু থেকে ক্যাশ অপশনে যান। এরপর ক্লিয়ার ক্যাশ ক্লিক করুন। 

৭.সার্চ ইনডেস্ক রিফ্রেশ করা

কম্পিউটারে সংরক্ষিত বিভিন্ন ফাইল দ্রুত সময়ে খুঁজে বের করতে সার্চ ইনডেস্ক রিফ্রেশ করা প্রয়োজন। এজন্য উইন্ডোজের ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার নিয়মিত (সাধারণ ব্যবহারে সপ্তাহে একবার) চালাতে হবে। এটি সাধারণত কনেট্রাল প্যানেলেই সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

৮.কম্পিউটার রিস্টার্ট করা

কম্পিউটার যদি দীর্ঘক্ষণ একনাগাড়ে চলে তাহলে গতি কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সমাধান হলো রিস্টার্ট করা। তবে বিনা দরকারে যখনতখন

কম্পিউটার রিস্টার্ট করা বা সরাসরি মেইন সুইচ অফ করা থেকে বিরত থাকুন। যেকোন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে প্রথমে ম্যানুয়ালি শাট ডাউন করুন প্রয়োজনবোধে প্রধান বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।

৯.সকল তার সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা

কম্পিউটার বা ডেক্সটপ মানেই হচ্ছে একগাদা তারের সমষ্টি। এই সকল তারসমূহ সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখুন এবং সবসময় উন্নতমানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করুন। উন্নত মানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করার ফলে আপনার

কম্পিউটারে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ হতে থাকবে। পুরোনো তার বা নষ্ট মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করার ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে থাকে। অথবা যদি লোডশেডিংয়ের সমস্যা হয় তাহলে আপনাকে কম্পিউটারের সাথে একটি UPS ব্যবহার করুন।

১০.কম্পিউটার নিয়মিত সার্ভিসিং করানো

বছরে অন্তত একবার হলেও কম্পিউটার সার্ভিসিং করুন। সার্ভিসিং করানোটা আপনাকে অযথা বলে মনে হতে পারে কিন্তু আপনি যদি এটি করেন তাহলে লক্ষ্যে করে দেখবেন আপনার ল্যাপটপ, ডেক্সটপের আয়ু

বাড়বে। ডিভাইস নষ্ট হওয়ার পর ঠিক করানো এর তুলনায় আগে থেকে যত্ন নেয়াটা অনেক বেশি কার্যকর। আর সবসময় চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত

ব্যক্তি বা পরিচিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে এবং এক জায়গা থেকেই নিয়মিত সার্ভিসিং করাবেন। এতে করে আপনার ডিভাইস সঠিকভাবে সার্ভিসিং করার নিশ্চয়তা রয়ে
 

Leave a Reply